পোস্টগুলি

মে, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হজ্ব

ছবি
বিদায় হজ কি? রাসুল সা. পরলোকগমনের পূর্বে যে হজ্জ্বে আকবর পালন করেছিলেন তাই বিদায় হজ্জ বা হজ্জুল বিদা। এই হজ্জে রাসুল সা. এর যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা খুতবাতু হজ্জ্বুল বিদা বা বিদায় হজ্জের ভাষণ বলে সুপরিচিত এবং এটি ইসলামের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দশম হিজরি সনে অর্থাৎ ৬৩২ খৃষ্টাব্দে এই হজ্জ অনুষ্ঠিত হয়। [তওবা - ৯/২৮] ফলে মুশরিকমুক্ত পরিবেশে তিনি এই হজ্জ করেন এবং এই হজ্জ অনুষ্ঠানের আমীর ও প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি নিজে। এই হজ্জে আরাফাতের ময়দানে ও মিনায় তিনদিনে বিভিন্ন সময় ৩১টি বিষয়ে তিনি উম্মতকে সতর্ক করেন [সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৭০১ পৃ.] বিদায় হজের ভাষণ ও বিস্তারিত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সম্পূর্ণ হল এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সার্বভৌমত্বে অস্বীকৃতি এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পয়গম্বরের ভিত্তির উপর এক নতুন সমাজ কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হল। অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আভাষ দেয়া হচ্ছিল যে, পৃথিবীতে তাঁর অবস্থানের সময় কাল ফুরিয়ে এসেছে। এ প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মু’আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানের গভর্ণর নিযুক্ত করে প্রেরণ ...

ট্রান্সজেন্ডার

ছবি
কো ন পুরুষ কখনোই সার্জারির মাধ্যমে নারী হতে পারেন না। কোন নারী কখনোই সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ হতে পারেন না। একজন নারী কখনোই তাঁর বায়োলজিকাল সিস্টেমে স্পার্ম প্রডিউস করতে পারবেন না, যেমনটা একজন পুরুষ ওভারি ডেভেলাপ করে এগ প্রডিউস করতে চিরদিনই অক্ষম।  তাহলে ট্রান্সজেন্ডাররা আসলে করে কী? সোজা বাংলায় একজন পুরুষ তার পেনিস কেটে ফেলেন (অনেকে আবার রেখেও দেন!) এবং টেস্টোস্টেরন-ব্লকার হরমোন নেন। এতে তার শরীরে টেস্টোস্টেরন প্রডাকশন বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি অ্যাস্ট্রোজেন নেন, যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে নারী) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।  মহিলারা ক্ষেত্রে উল্টা। তারা শরীরে টেস্টোস্টেরন নেয়া শুরু করেন যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে পুরুষ) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।  এতে আসলে কী হয়?  মূলত পুরুষের শরীরে নারীর মত কোমলতা আসে। দাড়ি-গোঁফ ওঠা কমে আসে, ব্রেস্ট ডেভলাপ করে। কিন্তু সে কখনই বায়োলজিকাল নারী হতে পারে না। তার সন্তানধারনের ক্ষমতা আসে না। তার মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং হয় না। তার শরীর সারাজীবনই পুরুষের থাকে - দেখতে কেবল নারীর মত হয়।  নার...

ফুল নিয়ে কিছু তথ্য

ছবি
ফু ল প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি, যা উদ্ভিদজগতের প্রজনন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এর সৌন্দর্য, সুগন্ধ এবং বৈচিত্র্য যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। এখানে ফুল সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো: ১. ফুলের সংজ্ঞা ও কাজ:  * ফুল হলো সপুষ্পক উদ্ভিদের রূপান্তরিত বিটপ, যা ফল ও বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবিস্তারে সাহায্য করে।  * ফুলের প্রধান জৈবিক কাজ হলো পরাগায়ন (সাধারণত ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানো) এবং ফল ও বীজ উৎপাদন করা। ২. ফুলের গঠন: একটি আদর্শ ফুলের সাধারণত পাঁচটি প্রধান স্তবক থাকে, যদিও সব ফুলে সব স্তবক নাও থাকতে পারে:  * পুষ্পাক্ষ (Thalamus/Receptacle): এটি ফুলের বৃন্তের অগ্রভাগ, যার উপর বাকি স্তবকগুলো সজ্জিত থাকে।  * বৃতি (Calyx): এটি ফুলের সবচেয়ে বাইরের স্তবক, যা সাধারণত সবুজ রঙের হয়। এর প্রতিটি অংশকে বৃত্যাংশ (sepal) বলে। বৃতির প্রধান কাজ কুঁড়ি অবস্থায় ফুলের অন্যান্য অংশকে রোদ, বৃষ্টি ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। কিছু ক্ষেত্রে রঙিন বৃতি পরাগায়নে সাহায্য করে।  * দলমণ্ডল/পাপড়ি (Corolla/Petal): এটি বৃতির ভেতরের রঙিন স্তবক। এর প্রতিটি অংশকে পাপড়ি বা দলাংশ (peta...

ব্যাংক এবং আপনি

ছবি
আপনি কখনোই ধনী হতে পারবে না যতক্ষণ না তুমি একটি ব্যাংকের মতো চিন্তা করোন। মূলত আপনার আর ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী? তারা ব্যাংকের মতো চিন্তা করে, আর আপনি চিন্তা করন ঋণগ্রহীতার মতো। ১. ব্যাংক টাকা ধরার পেছনে ছোটে না, তারা নিজেদের এমনভাবে অবস্থান করে যেন টাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। এমনকি তারা খরচ করে না, তারা অর্থ ব্যয় করে বিনিয়োগের জন্য। তারা আবেগ দিয়ে ঋণ দেয় না, তারা ঝুঁকি, লাভ এবং লিভারেজ মূল্যায়ন করে। তাই - আপনি যদি চিরতরে 'ছোট অর্থ' থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনার মস্তিষ্ককে একটি ব্যাংকের মতো কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যাংক ভাঙা শক্তির পেছনে ঋণ দেয় না, তারা সম্পদের পেছনে ঋণ দেয়, অজুহাতের পেছনে নয়। আপনি কী করেন? আপনি এমন মানুষদের টাকা দেন যাদের প্রতি সহানুভূতি কাজ করে, তারপর অভিযোগ করেন যখন তারা আপনার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ➤ ব্যাংকের মতো ঋণ দেওয়া শুরু করোন। নিজেকে প্রশ্ন করোন: এই মানুষটা কি ব্যাংকের জন্য উপযুক্ত (bankable)? যদি না হয়, তাহলে আপনার পকেট থেকে এক টাকাও বের হবে না। একটি সাধারণ নিয়ম: ব্যাংক যাকে ঋণ দেয় না, তাকে আপনিও ঋণ দিবেন না। কারণ দেয়ার পরে ত...

ফুল নিয়ে কিছু কথা

ছবি
ফুল (Flower) হলো উদ্ভিদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সাধারণত প্রজননের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি উদ্ভিদের সবচেয়ে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফুলের গঠন, রঙ, গন্ধ এবং আকার বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। ফুলের প্রধান অংশসমূহ ফুলের প্রধান অংশগুলো হলো:  * বৃন্ত (Pedicel): যে দণ্ডের উপর ফুল গঠিত হয়।  * বৃতি (Calyx): এটি সাধারণত সবুজ রঙের হয় এবং ফুলের কুঁড়িকে রক্ষা করে। এর প্রতিটি অংশকে বৃত্যংশ (Sepal) বলে।  * দলমণ্ডল (Corolla): এটি ফুলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ, যা বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পাপড়ি (Petal) দ্বারা গঠিত। পাপড়িগুলো পরাগায়নে সাহায্যকারী প্রাণীদের আকর্ষণ করে।  * পুংকেশর (Androecium): এটি ফুলের পুরুষ প্রজনন অংশ, যা পুংদণ্ড (Filament) এবং পরাগকেশ (Anther) নিয়ে গঠিত। পরাগকেশের মধ্যে পরাগরেণু (Pollen grain) থাকে।  * গর্ভকেশর (Gynoecium): এটি ফুলের স্ত্রী প্রজনন অংশ, যা গর্ভাশয় (Ovary), গর্ভদণ্ড (Style) এবং গর্ভমুণ্ড (Stigma) নিয়ে গঠিত। গর্ভাশয়ের মধ্যে ডিম্বক (Ovule) থাকে। ফুলের গুরুত্ব ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এর অনেক গুরু...

ক্যামেরার সামনে কথা বলা বা কমিউনিকেশন স্কিল

ছবি
কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর নিনজা টেকনিক। আ মরা সবাই চাই, কেউ আমাদের শুনুক, বুঝুক। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে মনে হয় যেন মনের মধ্যে এক বিচারসভা বসে গেছে। “ভুল করলে কি হবে?” “মানুষ হাসবে না তো?” এই ধরনের ভয়ের কণ্ঠগুলো মাথায় ঘুরতে থাকে। কিন্তু আসল নিনজা হয় সেই ব্যক্তি, যে ভয়কে শ'ত্রু না বানিয়ে সাথী বানিয়ে ফেলে। ক্যামেরার সামনে কথা বলার দক্ষতা আসলে একধরনের ‘মাইন্ড ট্রেনিং’। নিচে ৭টি সাইকোলজিক্যাল নিনজা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা চুপিচুপি আপনার আত্মবিশ্বাসে আ'গুন ধরিয়ে দেবে। ১। নিজের ভাষা ও কণ্ঠের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো। কমিউনিকেশনের প্রথম ধাপ হলো স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলা। ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময় আপনার কণ্ঠের স্বর, গতি এবং শব্দচয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে শুরু করবেন? মিরর প্র্যাকটিস করুন, প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। যেকোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলুন, যেমন আপনার দিন কেমন কাটলো। এটা আপনার মুখের ভাবভঙ্গি এবং কণ্ঠের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করবে। ২। ভয়কে বন্ধু বানান তাকে লুকাবেন না।  নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “আমি ভয় পাচ্ছি কেন?” ধরুন, আ...

সান্ডা নিয়ে কিছু কথা

ছবি
"সান্ডা" আসলে কী? আরব দেশেএই প্রাণী খাওয়ার ইতিহাস কত বছর আগের। ম ধ্যপ্রাচ্যের রুক্ষ, শুষ্ক অঞ্চলে এক বিশেষ ধরনের টিকটিকি দেখা যায়। কাঁটা লেজবিশিষ্ট এই টিকটিকি দেশে এখন সান্ডা নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এদের শক্ত, কাঁটাযুক্ত লেজ এবং মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা প্রকৃতির এক বিস্ময়! এসব টিকটিকির বিভিন্ন প্রজাতি পুরো মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া যায়।  সান্ডা কী? হাদীস অনুযায়ী সান্ডা খাওয়া কী? হাদীসের ঘটনা: তিনি উত্তরে বললেন: “এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না।” (সহীহ বুখারী: ৫৫৩৭, সহীহ মুসলিম: ১৯৪৪) ফিকহবিদদের মতামত হানাফি মাযহাব:  শাফেয়ি, মালিকি ও হাম্বলি মাযহাব: সান্ডা খাওয়ার চিকিৎসাগত দিক সান্ডা খাওয়া হারাম নয়, বরং হালাল। ইসলামে হালাল ও হারামের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সরাসরি কুরআন-হাদীসে উল্লেখ না থাকায় আলেমগণ ফিকহি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার বিধান নির্ধারণ করেন। তেমনই একটি বিষয় হলো সান্ডা খাওয়া।  আবাসস্থল ও জীবনধারা: এই টিকটিকিগুলো মূলত মরুভূমি, পাথুরে এলাকা ও শুকনো তৃণভূমিতে বাস করে। ...

আপনার সন্তানকে মানি ম্যানেজমেন্ট শিখান

ছবি
আ পনি মানুন বা না মানুন আপনার জীবনে যেকোনো মুহূর্তে ফিনান্সিয়াল ক্রাইসিস আসতে পারে। বিয়ে, জন্মদিন ইত্যাদি অনুষ্ঠানে লোক দেখানো বিশাল খরচ করবেন না। বহু মধ্যবিত্ত পরিবারের সঞ্চয়ের এক তৃতীয়াংশ খরচ হয়ে যায় শুধুমাত্র ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিতে গিয়ে। সন্তান জন্মের পর এক লাখ টাকাও যদি ফিক্সড করে রাখেন তার নামে, তবে সেই টাকাটা মাল্টিপ্লাই হতে হতে সন্তানের যখন বিশ বছর বয়স হবে, তখন একটা ভালো অ্যামাউন্ট পাবেন যেটা তার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আপনার মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয় করা টাকা আপনি নিজে মাল্টিপ্লাই করুন, বাচ্চাদেরকেও টাকা মাল্টিপ্লাই করতে শেখান। ছোটো থেকেই ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইস দিন। সন্তানকে প্রোডাক্টিভ আর নন-প্রোডাক্টিভ ইনভেস্ট সম্পর্কে জ্ঞান দিন। যেমন, গ্যাজেট আর ধাতুর মধ্যে ধাতু চ্যুজ করা উচিত। কারণ ধাতুর রিসেল ভ্যালু আছে। এই শিক্ষা ভবিষ্যতে আপনার এবং আপনার সন্তানের উপকারে আসবে। আপনার সর্বস্ব খরচ করে সন্তানকে বিয়ে দেবার চেয়ে কোনোমতে বিয়ে দিয়ে সন্তানের নামে টাকাটা ফিক্সড ডিপোজিট করে দিন, অসময়ে দরকার পড়বে! জমির চেয়ে বাড়ির ভ্যালু বেশি করবেন না। আবার বাড়ি বা ফার্নিচারের ভ্যালুর চেয়...

রিজিক

■▪রিজকের সর্বনিম্ন স্তর হচ্ছেঃ টাকা, পয়সা, অর্থ এবং সম্পদ। ■▪রিজক এর সর্বোচ্চ স্তর হচ্ছেঃ শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা। ■▪রিজকের সর্বোত্তম স্তর হচ্ছেঃ পুণ্যবান স্ত্রী এবং পরিশুদ্ধ নেক সন্তান এবং  ■▪রিজকের পরিপূর্ণ স্তর হচ্ছেঃ মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি। ■■ রিজক খুব গভীর একটি বিষয়, যদি আমরা তা বুঝতে পারি। ■■ আমি পুরো জীবনে কত টাকা আয় করবো সেটা লিখিত, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে সেটা লিখিত, কবে কোথায় মারা যাবো সেটাও লিখিত এবং কতটা খাবার ও পানীয় গ্রহণ করবো তাও লিখিত বা নির্দিষ্ট। ■■ আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, আমি কতগুলো দানা বা ভাত দুনিয়াতে খেয়ে তারপর মারা যাবো সেটা লিখিত। একটি দানাও কম হবেনা এবং একটি বেশিও না। ■■ ধরুন এটা লিখিত যে আমি সারাজীবনে এক কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্‌ তা'আলা নিয়েছেন। ■■ কিন্তু, আমি হালাল উপায়ে আয় করবো না হারাম উপায়ে আয় করবো, সেই সিদ্ধান্ত একান্তই আমার। ■■ যদি ধৈর্য ধারণ করি, আল্লাহ্‌ তা'আলার কাছে চাই, তাহলে হালাল উপায়ে ওই এক কোটি টাকা আয় করেই আমি মারা যাবো। আর হারাম উপায়ে হলেও ওই এক কোটিই... নাথিং মোর, নাথিং লেস! ■■ আমি যেই ফলটি আজকে টেকনাফ বসে খাচ্ছি, সেটা...

আল-কোরআন এবং জোরাম ভ্যান ক্লাভারেন

ছবি
একটি মন্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল 'কুরআন একটি বিষাক্ত গ্রন্থ -জোরাম ভ্যান ক্লাভারেনের এর ইসলাম বিদ্বেষের যাত্রা। ইউরোপের অভিজাত দেশ নেদারল্যান্ডসের সাবেক সংসদ সদস্য তিনি। দেশ থেকে ইসলাম নামক একটি ভয়ংকর ধর্মকে নির্মূল করার উদ্দেশ্যেই যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। তাঁর রাজনৈতিক দলের নাম ফ্রিডম পার্টি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই দলের টিকেটে ফ্লেভোল্যান্ড প্রদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন ক্লাভেরেন।  কিন্তু ইসলামকে কেবল রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করাই যথেষ্ট মনে হলো না তাঁর কাছে। ভয়ংকর এই ধর্মটির মুখোশ খুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি একটি বই লেখারও সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু ক্লাভেরেন জানলেন না—এই বই লেখার সিদ্ধান্তই ঘুরিয়ে দেবে তাঁর জীবনের মোড়। তিনি ছিলেন মূলত ধর্মতত্ত্বের একজন ছাত্র।  ইসলামের বিরুদ্ধে বই লিখতে গিয়ে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্মের মধ্যকার পার্থক্যগুলো গভীরভাবে অধ্যয়নের সুযোগ পেলেন তিনি। এসময় এমন কিছু তথ্য জানলেন, যা আগে জানতে পারেননি।  প্রথমেই দুই ধর্মের মধ্যকার স্রষ্টার ধারণার পার্থক্যটি চমকিত করল তাঁকে। খ্রিষ্ট ধর্মগ্রন্থ বাইবেল স্রষ্টার ত্রিত্ববাদের (Trinity) কথা বলে। কিন্তু তিনি ও...

ডালিম ফল

ছবি
জেনে নিন ডালিমের অসাধারন কিছু গুনাগুন! ডালিম ফল, ডালিম গাছের পাতা, ছাল, মূল, মূলের ছাল সবই ওষুধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।  ডালিমের অন্য নাম আনার। পাঞ্জাব কাশ্মীরে এ ফলকে বেদানা বলে। বেদানা আকারে ডালিমের চেয়ে অনেক ছোট এবং মিষ্টি স্বাদের। ডালিমের বৈজ্ঞানিক নাম Punica granatum.  শরীর সুস্থ রাখতে ডালিম– ১. ডালিম ক্ষিদে বাড়িয়ে দেয়, শরীর স্নিগ্ধ করে, মেদ ও বল বৃদ্ধি করে। ২. ডালিম রুচি বৃদ্ধি করে কোষ্ঠশুদ্ধি করে, অরুচি দূর করে শ্বাসকষ্ট কাশি ও বাত ব্যাধি নাশ করে। ৩. ডালিম খেলে শরীরের একটা বিশেষ ধরনের ফূর্তিভাব বা চেতনার সৃষ্টি হয়। ৪. ডালিমের রস মেধা বৃদ্ধি করে, মুখ পরিষ্কার করে। ৫. ডালিমে প্রচুর পরিমাণ লৌহ আছে যা রক্তবৃদ্ধি করে। ৬. ডালিমের সরবতে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে পান করলে উষ্ণাপত্ত অর্থাৎ পিত্তগরম হওয়া সেরে যায়, গরমকালে মাথা গরম দূর হয়ে যায় মাথা ঠান্ডা হয় ও চোখের জ্বালা কমে যায়। এ সরবত রুচিকারক এবং এর কাছে পিত্তের প্রকোপ শান্ত করার গুণ। ৭. বহুদিন ধরে যারা আমাশায় ভুগছেন তাদের ডালিমের খোসা লবঙ্গের সঙ্গে ফুটিয়ে খাওয়ালে– অন্য ওষুধের চেয়ে অনেক বেশি সুফল লাভ করবেন। ৮. ডাল...

আমাদের স্বপ্নগুলো

ছবি
আ পনার ড্রিমগুলো কি এতই সস্তা, যে কেউ যখন তখন এসে নাড়িয়ে দিয়ে আপনাকে হতাশ করে দিতে পারে? কার এত ঠ্যাকা পড়েছে আপনাকে নিয়ে ভাবার? কার এত সাধ্য আছে আপনাকে হতাশ করার? কারই বা এত ক্ষমতা আছে আপনাকে সুখী কিংবা সফল করার? ভাই , এত ইমোশনাল কেন আপনি? আপনার লাইফটা কি ১ টাকার বেলুন? কেউ একজন ফুঁ দিয়ে বাতাস ঢুকালে ফুলে যায়, আবার কেউ সুঁই দিয়ে ছোট একটা ছিদ্র করলেই ফুলানো বেলুন চুপসে যায়? এত সস্তা কেন বানাচ্ছেন লাইফকে? চালের সাথে ডাল মিশিয়ে কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখে একটু পরেই কাচ্চি বিরানী হয়ে যাবে, তাহলে তাকে কী বলা যায়? সোজা বাংলায় বলদ। আপনি যা করবেন তাই তো ফেরত পাবেন। কম্পিউটারে শাকিব খানের সিনেমা ডাউনলোড করে, ফোল্ডারে সালমান খানের ছবি খুঁজলে আপনাকে কী বলা যায়? আমি এগুলোকে স্বপ্ন বলি না। এগুলোকে বলি আঁতেল।  ব্যাংক একাউন্ট একটা খুলে রেখেছেন বলেই কি সেখানে অটো টাকা জমতে থাকবে? আরে ভাই, আপনাকে প্রতি মাসে সেখানে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। তবেই সেখানে টাকা জমবে। লাইফটা আপনার, কাজগুলোও আপনাকে করতে হবে। বড় বড় স্বপ্ন দেখে কেউ বড় কিছু অর্জন করেনি। যা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তা পূরণ করার মত ইফোর্ট আপনি দ...

ওষুধ শিল্পের জটিলতা নিরসন প্রয়োজন

ছবি
ওষুধ শিল্পের জটিলতা নিরসন প্রয়োজন লেখক- ডা. লিয়াকত উল্যাহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক বায়োফার্মা লিমিটেড। ও ষুধ একটি জীবনরক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ বর্তমানে দেশেই তৈরি হচ্ছে। দেশে উৎপাদন হয় না এ রকম স্বল্প সংখ্যক ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ওষুধ উৎপাদন করছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো। এ কারণে দেশে বিদেশি ওষুধের আমদানিনির্ভরতা দিন দিন কমছে। বরং দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এ কারণে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক বাজার অর্থনীতির সুফল ঘরে তোলার লক্ষ্যে। ফলশ্রুতিতে দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বৈশ্বিক বাজারেও একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে দেশের ওষুধ শিল্প। পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই বিশ্ববাজারের ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি বিশ্ববাজারে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। দেশেই এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এ কারণে প্রতি বছরই ওষুধ রফতানি বাড়ছে। মানের দি...

নিউক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরণের ভয়াবহতা

ছবি
নি উক্লিয়ার বোমা বিস্ফোরণের পর প্রথম ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণের কেন্দ্রে তাপমাত্রা এক থেকে কয়েক মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়। আশেপাশের মানুষ ও জীবজন্তু তৎক্ষণাৎ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাড়িঘর, গাছপালা, যানবাহন, যা কিছু দাহ্য সব জ্বলে ওঠে বা গলে যায়। শকওয়েভ (Shockwave) প্রচণ্ড শব্দ ও চাপে কংক্রিটের বাড়ি পর্যন্ত ধসে পড়ে। বিস্ফোরণস্থলের কাছাকাছি মানুষদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।  তেজস্ক্রিয়তা (Radiation): গামা রে এবং নিউট্রনের প্রবাহ তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের সব জীবকে মরণব্যাধিতে আক্রান্ত করে। Radiation sickness দেখা দেয়: বমি, রক্তপাত, শরীরের কোষ ধ্বংস, কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু। নিউক্লিয়ার ফায়ারবল ও মাশরুম ক্লাউড কয়েক কিলোমিটার উচ্চতায় মাশরুম আকারে ধোঁয়া ও ধ্বংসাবশেষের স্তম্ভ সৃষ্টি হয়। দূর থেকে দেখা যায়—এক ভয়াল মেঘের পাহাড় উঠছে আকাশে।  তেজস্ক্রিয়তা বিস্তার ও দীর্ঘস্থায়ী রোগ Chernobyl ও Hiroshima–Nagasaki-এর মতো স্থানে দেখা গেছে, বহু বছর পরেও মানুষ ক্যান্সার, জন্মগত ত্রুটি ও অন্যান্য জটিল রোগে ভোগে। তেজস্ক্রিয় ধূলিকণা বাতাসে ও মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে, ফলে ফসল উৎপাদন বন্ধ, পানীয় জল দ...

আমার মা

ছবি
প্রথমে কবির ভাষায়  বলতে হয়- যার গর্ভেতে জন্ম নিয়েছি  দেখেছি পৃথিবীটাকে  দেখিনি দেবতা,  দেখেছি আমার  জন্মদায়িনী মা'কে। আমার মা আমার জীবনের সবচেয়ে, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, জন্ম থেকে আজ পর্যন্ত আমার মায়ের অবদানই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি।  ইংরেজিতে একটি কথা আছে- "There is no mother who does not love her child. " অর্থাথাৎ এমন কোনো মা নেই যে সন্তানকে ভালোবাসে না।  এ পৃথিবীতে আমার মাই আমাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।  কবির ভাষায় বলতে ইচ্ছে করে-  মাগো তুমি কোথায় গেলে  জানতে ইচ্ছে করে।  তোমার কথা মনে হলেই অশ্রু চোখে ঝড়ে।  আমি আমার মাকে ছাড়া এক মুহুর্তও ভাবতে পারি না। জন্মের পর থেকে আজ পর্যন্ত যার পরিশ্রমে ও সেবাসত্বে আমি বড় হয়েছি তিনি আমার মা। আমার মা আমার কাছে সুন্দর ও প্রিয় ব্যক্তি। আমার মা একজন উচ্চশিক্ষিত ও রিচক্ষণ ব্যক্তি। আমার মা  পেশায় একজন শিক্ষক। আমার মা ধার্মিক একজন শিক্ষক, ন্যায়নিষ্ট, সত্যবাদী এবং মিষ্টভাষী। আমার মা খুবই মেধাবী। আমার  মা গৃহিণী ও বটে। রান্ন-বান্নাসহ সংসারের যাবতীয় কাজ তিনি একাই করেন। আমার মাঁ আমার সু...