ওষুধ শিল্পের জটিলতা নিরসন প্রয়োজন

ওষুধ শিল্পের জটিলতা নিরসন প্রয়োজন















লেখক- ডা. লিয়াকত উল্যাহ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক
বায়োফার্মা লিমিটেড।

ষুধ একটি জীবনরক্ষাকারী অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ বর্তমানে দেশেই তৈরি হচ্ছে। দেশে উৎপাদন হয় না এ রকম স্বল্প সংখ্যক ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। স্থানীয়ভাবে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ওষুধ উৎপাদন করছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো। এ কারণে দেশে বিদেশি ওষুধের আমদানিনির্ভরতা দিন দিন কমছে। বরং দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। এ কারণে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো নিজেদের সক্ষমতা বাড়াচ্ছে প্রতিযোগিতামূলক বাজার অর্থনীতির সুফল ঘরে তোলার লক্ষ্যে। ফলশ্রুতিতে দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে বৈশ্বিক বাজারেও একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে দেশের ওষুধ শিল্প।

পৃথিবীর স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই বিশ্ববাজারের ওষুধ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতা অর্জন করেছে। এটি বিশ্ববাজারে ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। দেশেই এখন বিশ্বমানের ওষুধ উৎপাদিত হচ্ছে। এ কারণে প্রতি বছরই ওষুধ রফতানি বাড়ছে। মানের দিক থেকে উন্নতমান এবং দাম সাশ্রয়ী হওয়ায় বিদেশে বাংলাদেশে তৈরি ওষুধের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। ওষুধ শিল্পে এই অর্জন নিঃসন্দেহে একটি বড় অগ্রগতি। দেশে এই শিল্পের শুভসূচনা হয়েছে মূলত আশির দশকে। সে সময় বাংলাদেশের ওষুধ শিল্প ছিল মূলত বিদেশি কোম্পাি নগুলোর হাতে জিম্মি, দেশীয় কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারত না। তখন শতকরা ৮০ ভাগ ওষুধ আমদানি করতে হতো বিদেশ থেকে। আর ২০ ভাগ আসত দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকে।


ওষুধ শিল্পের বিকাশ ও উন্নয়নে তৎকালীন সরকার ১৯৭৪ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঔষধ প্রশাসন পরিদফতর গঠন করে। ১৯৮২ সালে ড্রাগ কন্ট্রোল অর্ডিন্যান্স বা ওষুধ নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে। এই অধ্যাদেশে দেশীয় ওষুষ শিল্পের বিকাশকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। মূলত এই পদক্ষেপ দেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশে যুগাজকারী ভূমিকা পালন করেছে। সেখানে জীবন রক্ষাকারী অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ, ইনজেকশনসহ সব ধরনের ওষুধের মূল্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে তালিকা করে ১ হাজার ৫০০টিরও অধিক বিদেশি ওষুধ আমদানি নিষিদ্ধ করা হয় এবং আতীয় ওষুধ নীতিতে এভাবে পরিবর্তন আনা হয়। মূলত পরিবর্তন এ জন্যই করা হয়, 'যেসব ওষুধ দেশীয় কোম্পানিগুলো তৈরি করতে পারে সেগুলো আমদানি করা যাবে না।' ১৫০টির ওষুধকে অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নের কারণে বিদেশি কোম্পানিগুলোর দৌরাত্ম্য কমতে শুরু করে। আর একই সঙ্গে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে ওষুষ শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে শুরু করে। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নীতির ফলে ওষুধ রফতানি ও দেশীয় বাজারের আকার প্রতিনিয়তই বড় হচ্ছে। দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্তত ৫০টি কোম্পানি বড় অঙ্কের রফতানি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত। এশিয়ার ৪৩টি, দক্ষিণ আমেরিকার ২০টি, উত্তর আমেরিকার ৬টি, আফ্রিকার ৩৯টি, ইউরোপের ৩৮টি ও অস্ট্রেলিয়ার ৫টি দেশে রফতানি হচ্ছে বাং-লাদেশের ওষুধ।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৩৩৬ কোটি টাকার ওষুধ বিভিন্ন দেশে রফতানি হয়েছে। দেশে বর্তমানে ২৯৫টি অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুত-কারক প্রতিষ্ঠান আছে। এসব প্রতিষ্ঠান ৪৬ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার ওষুধ ও কাঁচামাল তৈরি করছে। এ ছাড়া দেশের ২৮৪টি ইউনানি ও ২০৫টি আয়ুর্বেদিক, ১টি হোমিওপ্যাথিক ও ৩১টি হারর্বাল ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ওষুধ উৎপাদন করছে।

মূলত তৎকালীন সরকারের প্রণীত ওষুধ নীতির ফলে বিদেশি ওষুধ কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া বাণিজ্য থেকে দেশীয় ওষুধ শিল্প মুক্তি পায় এবং ধীরে ধীরে দেশের বাজার সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ। এ শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় ১৯৮২ সালে গঠিত ড্রাগ অর্ডিন্যান্স ও জাতীয় ওষুধ নীতি পর্যালোচনা করে ২০০৫ সালে এবং সবশেষ ২০১৬ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়ন করা হয়। ২০১০ সালে ওষুধ পরিদফতরকে অধিদফতরে উন্নীত করা হয়। এই অধিদফতর বর্তমানে দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণের একমাত্র লাইন্সেলিং ও নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ। ওষুধ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এসব অর্ডিন্যান্স ও নীতি ছাড়াও দ্য ক্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০, দ্য ড্রাগ কলস ১৯৪৫ ও দ্য বাংলা ড্রাগ রুলস ১৯৪৬ এবং সরকারের বিভিন্ন সময়ে দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়।

বর্তমানে দেশে ৩০ হাজার ৫৯ কোটি টাকার ওষুধের বাজার রয়েছে, যা বছরে ২.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে আইকিউভিআইএর চতুর্থ কোয়ার্টারের ২০২৩-এর রিপোর্টে উঠে এসেছে। বর্তমানে দেশীয় ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো স্থানীয় চাহিদার ৮৮ শতাংশ পূরণ করে উদ্বৃত্ত ওষুধ বিশ্বের অন্তত ১৫৭টি দেশে রফতানি করছে। বর্তমানে দেশে তৈরি ওষুধের রফতানি ক্রমান্বয়ে বাড়লেও এর বেশি ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বিগত করোনা মহামারির সময়ে। এ সময় করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভির ও ফ্যাজিপিরাতির রফতানি বেড়ে যায়। বিভিন্ন দেশের সরকারও বাংলাদেশ থেকে এসব ওষুধ ক্রয়ের চাহিদাপত্র পাঠায়। এ সময় এক-কভাবে রেমডিসিভির ওষুধ রফতানি হয়েছে অনেক বেশি। করোনা মোকাবিলায় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর জরুরি প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ প্রস্তুত ও রফতানির অনুমোদন দিয়েছে। উন্নত মান ও কম দামের পাশাপাশি দ্রুত উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে।

তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই ওষুধ শিল্পের অবস্থান। এটি একটি সম্ভাবনাময় একটি শিল্প। বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন, দেশীয় চাহিদা পূরণ, আন্তর্জাতিক মানদন্বত ওষুধ উৎপাদন, দেশের উৎপাদিত বিভিন্ন ওষুধ বিদেশে রফতানির মাধ্যমে এই খাতের সাফল্য এখন আকাশছোঁয়া। এটি সম্ভব হয়েছে এই খাতের মেধাবী উদ্যোক্তা, ফার্মাসিস্ট, কেমিস্ট, বায়োকেমিস্ট, বায়োটেকনোলজিস্ট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারদের নিরলস পরিশ্রম এবং সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশিষ্ট বিভাগগুলোর নিরন্ধর সহযোগিতার কারণে।

আশির দশকের আগে ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার মতো উন্নত দেশ বাংলাদেশে তৈরি ওষুধ রফতানি করা ছিল কল্পনাতী-ত। অথচ আজ দেশের তৈরি ওষুধ এখন আমেরিকা, ইউরোপে বিক্রি হচ্ছে। ওষুধ শিল্পের জন্য এটি নিঃসন্দেহে একটি ঈর্থণীয় সাফল্য। এই শিল্পের সঙ্গে সংশিষ্টদের মতে, বিশ্ববাজারে দেশীয় ওষুধের রফতানির আকার বছর বছর বাড়লেও প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়ে যায়। এই পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে আনা উচিত। বর্তমানে ফিনিশড গ্রোডাক্টে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন নিঃসন্দেহে একটি বড় অর্জন, ঠিক তেমনি কাঁচামালের দিক নিয়েও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা এখন সময়ের দাবি। তা না হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে এই শিল্প। পাশাপাশি দেশীয় ওষুব শিল্পের বিকাশে পর্যাপ্ত গবেষণা প্রয়োজন, নতুন মলিকিউল ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র জৈবিক কণার উদ্ভাবন, নতুন ওষুধ আবিষ্কার কিংবা এনালগ বা সহযোগী যৌগ উপাদান নিয়ে গবেষণা বাড়ানো দরকার।

অথচ এ নিয়ে ভারত ও চীনে ব্যাপক গবেষণা হচ্ছে। এ মৌলিক গবেষণা এখনও পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এর গুরুত্ব বিবেচনায় এনে সরকার মুন্সী-গঞ্জের গজারিয়ায় ২১৬ একর জমিতে অ্যাক্টিত ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস বা এপিআই উৎপাদনের লক্ষ্যে এপিআই পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই শিল্প পার্কে স্থাপিত প্রতিষ্ঠানগুলো প্রয়োজনীয় কাঁচামাল উৎপাদনে গেলে স্থানীয় শিল্পের চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে এবং আমদানিনির্ভরতা কমবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশ এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে যে সুবিধা পেয়ে আসছিল, তা রহিত হয়ে যাবে। তখন বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী পেটেন্টকৃত ওষুধগুলো আর উৎপাদন করতে পারবে না এবং স্বল্প মূল্যে মানুষের কাছে বিক্রি করতে পারবে না। আর যদি সেগুলো উৎপাদন করতে চায় তা হলে পেটেন্টের যথাযথ মূল্য বা র‍্যানটি পরিশোধ সাপেক্ষে উৎপাদন করতে হবে, তখন পেটেন্টকৃত ওষুষগুলোর দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাবে। তখন তা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই এ থেকে উত্তরণের উপায় খোঁজা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বের ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) মধ্যে একমাত্ররা দেশ বাংলাদেশ, যার সক্ষমতা আছে যেকোনো ওষুধ উৎপাদন করার। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ট্রিপস চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ২০৩৪ সাল পর্যন্ত বিনা বাধায় অন্য দেশের যেকোনো পেটেন্ট ওষুধ উৎপাদন, বিপণন ও রফতানি করতে পারবে। তবে ২০২৬ সালের পর ট্রিপস চুক্তি অব্যাহতির পর এই সুবিধা পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরেও ২০৩৪ সাল পর্যন্ত টিপস চুক্তির শর্ত পরিপালনের আবশ্যকতা থেকে ছাড় পাওয়ার সুবিধা যাতে অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দাম এখন পর্যন্ত ৩০ শতাংশ কম বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতি। বর্তমান সময়ে ডলারের দাম বাড়ায়, তার সঙ্গে পালা দিয়ে অন্যান্য জিনিসের দাম বেড়েছে। এর ফলে ওষুষের উৎপাদন খরচ ৩০-৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ওষুধের গুণগত মান বজায় রেখে আগের দামে উৎপাদন ও বিপণন করা কঠিন বলে এই শিল্পের সঙ্গে সংশিষ্টদের অভিমত।

ওষুধ শিল্প খাত মূলত বেসরকারি পর্যায়ে একটি দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প খাত, যা দেশের জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। দেশের অত্যন্তরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। এয় ফলে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে। তাই প্রত্যাশা এই শিল্প খাত যাতে বিশ্ববাজারে আরও সফলতা অর্জন করতে পারে সে জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা, দ্রুত এপিআই শিল্প পার্ক চালুর উদ্যোগ নেবে সরকার। তা হলেই সম্ভব দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশে ওষুধ রফতানির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

হরি দল ও অক্ষরজ্ঞানহীন দরিদ্র কৃষক হরিপদ কাপালী

"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল"

ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়ার চিকিৎসায় অগ্রগতি - আত্মহত্যার রোগ