পোস্টগুলি

ছাদ বাগান

ছাদ বাগান বা রুফটপ গার্ডেনিং আজকাল শহুরে জীবনে এক দারুণ জনপ্রিয় ধারণা। যাদের নিজস্ব বাগান করার মতো জমি নেই, তারা নিজেদের বাড়ির ছাদকেই কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন সুন্দর সবুজ মরূদ্যান। আর এই ছাদ বাগানে যখন ফল আসে, তখন তার আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়! ছাদ বাগানে ফল আসার আনন্দ ছাদ বাগানে ফল আসাটা কেবল ফল উৎপাদন নয়, এটি শখের বশবর্তী হয়ে করা পরিশ্রমের এক দারুণ প্রতিদান। নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে তাজা ফল পাড়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। এটি যেমন পরিবারকে স্বাস্থ্যকর ফল সরবরাহ করে, তেমনি মনকেও সতেজ রাখে। টাটকা ফলগুলো বাজার থেকে কেনা ফলের চেয়ে বেশি সুস্বাদু এবং রাসায়নিকমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত যে ফলগুলো ছাদ বাগানে ভালো হয় ছাদ বাগানের জন্য এমন ফল গাছ নির্বাচন করা উচিত যেগুলো ছোট আকারের পাত্রে ভালো জন্মায় এবং খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। কিছু জনপ্রিয় ফল গাছ হলো:  * লেবু: বিভিন্ন প্রকার লেবু গাছ, যেমন কাগজি লেবু, পাতি লেবু, বাতাবি লেবু ছাদ বাগানের জন্য খুবই উপযোগী। এগুলো সহজে যত্ন নেওয়া যায় এবং সারা বছর ফল দেয়।  * পেঁপে: অল্প জায়গাতেও পেঁপে গাছ ভালো ফলন দেয়। এর দ্রুত বৃদ্ধ...

চোখের নজর

চোখের নজর:  দৃষ্টিশক্তির গুরুত্ব এবং যত্ন চোখের নজর বা দৃষ্টিশক্তি আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের চারপাশের জগতকে দেখতে, চিনতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। সুস্থ চোখের নজর দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। এটি শুধু বস্তু দেখতেই সাহায্য করে না, বরং শেখা, কাজ করা, খেলাধুলা করা এবং মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখের নজর কেন গুরুত্বপূর্ণ?  * দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তা: পড়া, লেখা, গাড়ি চালানো, রান্না করা, খেলাধুলা করা – আমাদের প্রতিটি দৈনন্দিন কাজে চোখের নজর অপরিহার্য।  * শিক্ষায় সহায়তা: শিক্ষার্থীরা চোখের মাধ্যমে বই পড়ে, বোর্ডের লেখা দেখে এবং ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন গ্রহণ করে শেখে।  * কাজের ক্ষেত্রে: অনেক পেশায়, যেমন – ড্রাইভার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সার্জন, শিল্পকলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভালো দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত জরুরি।  * সামাজিক যোগাযোগ: মুখের অভিব্যক্তি এবং অঙ্গভঙ্গি বোঝার জন্য দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন হয়, যা সামাজিক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  * নিরাপত্তা: পথ চলতে, বিপদ এড়াতে এবং চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে...

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে

প্রযুক্তির প্রেমে পড়েছিলেন তিনি একদমই ছোটবেলায় । কিন্তু কখন যে সেই ভালোবাসা থেকে কনটেন্ট বানানোর যাত্রা শুরু হলো , টেরই পাননি তিনি । আজ যাঁরা বলেন , “ আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাই ” , তাঁদের তিনি বলেন , এই যাত্রাটা সহজ নয় , তবে অসম্ভবও নয় । কনটেন্ট নির্মাণ এখন অনেকের কাছেই স্বপ্নের ক্যারিয়ার । তবে বাস্তবতা হচ্ছে , এই পেশায় প্রতিদিনই শেখা , গড়া ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই । একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয় , আর কোন কোন ভুল এড়িয়ে চললে পথটা কিছুটা মসৃণ হয় , এই লেখায় তুলে ধরা হয়েছে সে বিষয়গুলো । বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও Samzone- এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম - এর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মো . আশিকুর রহমান । তোমার কণ্ঠটা তোমারই হোক প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , তোমার কণ্ঠ কোথায় ? কনটেন্ট মানে শুধুই ট্রেন্ড ধাওয়া নয় । অনেকেই ভাবে , এই মুহূর্তে ভাইরাল কী , সেটা নিয়েই কিছু বানাতে হবে । কিন্তু আসল সফলতা আসে যখন তুমি নিজের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে পারো । তোমার কথায় যদি সত্যতা থাকে , তাহলেও মানুষের সঙ...

"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল"

ছবি
"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল" - এই লাইনটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গান থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের বর্ষা অংশে অন্তর্ভুক্ত। এই গানটি বর্ষার আগমন এবং কদম ফুলের সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ককে সুন্দরভাবে তুলে ধরে। বাদল দিন মানে বৃষ্টিভেজা দিন, আর সেই দিনে ফোটা প্রথম কদম ফুল বর্ষার এক বিশেষ প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ এই গানে কদম ফুলকে বর্ষার প্রথম উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং এর প্রতিদানে শ্রাবণের গান উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, বর্ষা ও কদম ফুল নিয়ে আরও অনেক কবি-সাহিত্যিক গান, কবিতা ও গল্প লিখেছেন। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদও কদম ফুলকে তার লেখায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, এমনকি "বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল" নামে একটি নাটক ও "বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল" নামে একটি উপন্যাসও লিখেছেন। তার বিখ্যাত গান "যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়" -তেও কদম ফুলের উল্লেখ আছে। কদম ফুল বর্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর হলুদ-সোনালি এবং সাদা রঙের মিশ্র...

শুভ সকাল

ছবি
শফিক'স ওয়ার্ল্ড একটা সকাল মানেই নতুন করে শুরু করার সুযোগ। ভোরের আলোয় সব ক্লান্তি ধুয়ে যায়, মন ভরে ওঠে নতুন আশায়। প্রতিটি সকাল আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবন কতটা সুন্দর আর প্রতিটি দিনই নতুন করে বাঁচার প্রেরণা নিয়ে আসে। আপনার সকালকে সুন্দর করার কিছু টিপস:  * ভোরের আলো উপভোগ করুন: ঘুম থেকে উঠেই জানালার পর্দা সরিয়ে দিন। ভোরের নরম আলো আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে।  * সকালের নাস্তা করুন: পুষ্টিকর নাস্তা দিয়ে দিন শুরু করুন। এটি আপনাকে সারাদিন কর্মঠ থাকতে সাহায্য করবে।  * নিজের জন্য সময় বের করুন: সকালে কিছুক্ষণ হাঁটুন, যোগা করুন অথবা আপনার পছন্দের কোনো বই পড়ুন। এই সময়টুকু আপনার মনকে শান্ত রাখবে।  * ইতিবাচক থাকুন: দিনের শুরুতেই ইতিবাচক চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, আপনার প্রতিটি দিন কেমন কাটবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে আপনার সকালের ওপর। আপনার সকালগুলো আনন্দময় হোক!

লিচু বাগান

ছবি
লি চুর বাগান একটি দারুণ এবং লাভজনক কৃষি উদ্যোগ হতে পারে। বাংলাদেশে লিচু একটি জনপ্রিয় ফল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। লিচু বাগান করার সুবিধা  * উচ্চ চাহিদা: লিচুর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের কারণে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।  * আর্থিক লাভ: সঠিক পরিচর্যা এবং ভালো ফলন হলে লিচু বাগান থেকে ভালো আর্থিক লাভ করা সম্ভব।  * পরিবেশগত উপকারিতা: বাগান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ায়।  * কর্মসংস্থান সৃষ্টি: লিচু বাগান রক্ষণাবেক্ষণ ও ফল তোলার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। লিচু বাগানের জন্য উপযুক্ত স্থান ও মাটি লিচু বাগান করার জন্য সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন। দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি লিচু চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ থাকা এবং সুনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। জলাবদ্ধতা লিচুগাছের জন্য ক্ষতিকর। চারা রোপণ ও পরিচর্যা সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত লিচুর চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। রোপণের সময় সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, যাতে গাছগুলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। চারা রোপণের পর নিয়মিত সার প্রয়োগ...

শিউলির স্বপ্ন

স্বপ্ন, আশা, আর কঠিন বাস্তবতার এক অদ্ভুত মিশেলে গড়া এই আমাদের জীবন। এর প্রতিটি বাঁকে রয়েছে অজস্র গল্প, কিছু হাসির, কিছু কান্নার, আর কিছু অনুপ্রেরণার। তেমনই এক জীবনের গল্প হলো শিউলির। শিউলি জন্মেছিল এক অজপাড়াগাঁয়ে, যেখানে স্বপ্ন দেখাটাই ছিল এক প্রকার বিলাসিতা। চারপাশে দারিদ্র্যের কড়া শাসন, কিন্তু শিউলির চোখে ছিল অপার স্বপ্ন। সে স্বপ্ন দেখতো শহরের ঝলমলে আলোর, সে স্বপ্ন দেখতো একদিন তার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে গ্রামের প্রতিটি ঘর। তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল একজন শিক্ষিকা হওয়া। সে বিশ্বাস করতো, শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। বাস্তবতার কঠিন পথ কিন্তু স্বপ্নের পথ কখনই মসৃণ হয় না। শিউলির বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর। তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই তাদের হিমশিম খেতে হতো। স্কুলে যাওয়ার জন্য বই-খাতা কেনার সামর্থ্যও তাদের ছিল না। শিউলির মনে মাঝে মাঝেই হতাশার মেঘ জমতো। চোখের কোণে জমা জল মুছে সে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতো। সে দিনের বেলা বাবার সাথে কৃষি কাজ করতো, আর রাতে হারিকেনের আবছা আলোয় বই নিয়ে বসতো। গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিউলির এই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে বিনা পয়সায় পড়া...