পোস্টগুলি

হজ্ব

ছবি
বিদায় হজ কি? রাসুল সা. পরলোকগমনের পূর্বে যে হজ্জ্বে আকবর পালন করেছিলেন তাই বিদায় হজ্জ বা হজ্জুল বিদা। এই হজ্জে রাসুল সা. এর যে বক্তব্য রেখেছিলেন তা খুতবাতু হজ্জ্বুল বিদা বা বিদায় হজ্জের ভাষণ বলে সুপরিচিত এবং এটি ইসলামের ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ দশম হিজরি সনে অর্থাৎ ৬৩২ খৃষ্টাব্দে এই হজ্জ অনুষ্ঠিত হয়। [তওবা - ৯/২৮] ফলে মুশরিকমুক্ত পরিবেশে তিনি এই হজ্জ করেন এবং এই হজ্জ অনুষ্ঠানের আমীর ও প্রশিক্ষক ছিলেন তিনি নিজে। এই হজ্জে আরাফাতের ময়দানে ও মিনায় তিনদিনে বিভিন্ন সময় ৩১টি বিষয়ে তিনি উম্মতকে সতর্ক করেন [সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৭০১ পৃ.] বিদায় হজের ভাষণ ও বিস্তারিত দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সম্পূর্ণ হল এবং আল্লাহর সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো সার্বভৌমত্বে অস্বীকৃতি এবং মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পয়গম্বরের ভিত্তির উপর এক নতুন সমাজ কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হল। অতঃপর আল্লাহ সুবহানাহূ ওয়া তা‘আলার পক্ষ থেকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আভাষ দেয়া হচ্ছিল যে, পৃথিবীতে তাঁর অবস্থানের সময় কাল ফুরিয়ে এসেছে। এ প্রেক্ষিতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মু’আয বিন জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামানের গভর্ণর নিযুক্ত করে প্রেরণ ...

ট্রান্সজেন্ডার

ছবি
কো ন পুরুষ কখনোই সার্জারির মাধ্যমে নারী হতে পারেন না। কোন নারী কখনোই সার্জারির মাধ্যমে পুরুষ হতে পারেন না। একজন নারী কখনোই তাঁর বায়োলজিকাল সিস্টেমে স্পার্ম প্রডিউস করতে পারবেন না, যেমনটা একজন পুরুষ ওভারি ডেভেলাপ করে এগ প্রডিউস করতে চিরদিনই অক্ষম।  তাহলে ট্রান্সজেন্ডাররা আসলে করে কী? সোজা বাংলায় একজন পুরুষ তার পেনিস কেটে ফেলেন (অনেকে আবার রেখেও দেন!) এবং টেস্টোস্টেরন-ব্লকার হরমোন নেন। এতে তার শরীরে টেস্টোস্টেরন প্রডাকশন বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি তিনি অ্যাস্ট্রোজেন নেন, যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে নারী) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।  মহিলারা ক্ষেত্রে উল্টা। তারা শরীরে টেস্টোস্টেরন নেয়া শুরু করেন যা তার শরীরে সেকেন্ডারি সেক্সের (তার ক্ষেত্রে পুরুষ) ক্যারেক্টারিস্টিক্স ডেভেলাপ করে।  এতে আসলে কী হয়?  মূলত পুরুষের শরীরে নারীর মত কোমলতা আসে। দাড়ি-গোঁফ ওঠা কমে আসে, ব্রেস্ট ডেভলাপ করে। কিন্তু সে কখনই বায়োলজিকাল নারী হতে পারে না। তার সন্তানধারনের ক্ষমতা আসে না। তার মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং হয় না। তার শরীর সারাজীবনই পুরুষের থাকে - দেখতে কেবল নারীর মত হয়।  নার...

ফুল নিয়ে কিছু তথ্য

ছবি
ফু ল প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টি, যা উদ্ভিদজগতের প্রজনন অঙ্গ হিসেবে কাজ করে। এর সৌন্দর্য, সুগন্ধ এবং বৈচিত্র্য যুগ যুগ ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে আসছে। এখানে ফুল সম্পর্কে কিছু তথ্য দেওয়া হলো: ১. ফুলের সংজ্ঞা ও কাজ:  * ফুল হলো সপুষ্পক উদ্ভিদের রূপান্তরিত বিটপ, যা ফল ও বীজ উৎপাদনের মাধ্যমে বংশবিস্তারে সাহায্য করে।  * ফুলের প্রধান জৈবিক কাজ হলো পরাগায়ন (সাধারণত ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর মিলন ঘটানো) এবং ফল ও বীজ উৎপাদন করা। ২. ফুলের গঠন: একটি আদর্শ ফুলের সাধারণত পাঁচটি প্রধান স্তবক থাকে, যদিও সব ফুলে সব স্তবক নাও থাকতে পারে:  * পুষ্পাক্ষ (Thalamus/Receptacle): এটি ফুলের বৃন্তের অগ্রভাগ, যার উপর বাকি স্তবকগুলো সজ্জিত থাকে।  * বৃতি (Calyx): এটি ফুলের সবচেয়ে বাইরের স্তবক, যা সাধারণত সবুজ রঙের হয়। এর প্রতিটি অংশকে বৃত্যাংশ (sepal) বলে। বৃতির প্রধান কাজ কুঁড়ি অবস্থায় ফুলের অন্যান্য অংশকে রোদ, বৃষ্টি ও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা। কিছু ক্ষেত্রে রঙিন বৃতি পরাগায়নে সাহায্য করে।  * দলমণ্ডল/পাপড়ি (Corolla/Petal): এটি বৃতির ভেতরের রঙিন স্তবক। এর প্রতিটি অংশকে পাপড়ি বা দলাংশ (peta...

ব্যাংক এবং আপনি

ছবি
আপনি কখনোই ধনী হতে পারবে না যতক্ষণ না তুমি একটি ব্যাংকের মতো চিন্তা করোন। মূলত আপনার আর ধনীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় পার্থক্য কী? তারা ব্যাংকের মতো চিন্তা করে, আর আপনি চিন্তা করন ঋণগ্রহীতার মতো। ১. ব্যাংক টাকা ধরার পেছনে ছোটে না, তারা নিজেদের এমনভাবে অবস্থান করে যেন টাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। এমনকি তারা খরচ করে না, তারা অর্থ ব্যয় করে বিনিয়োগের জন্য। তারা আবেগ দিয়ে ঋণ দেয় না, তারা ঝুঁকি, লাভ এবং লিভারেজ মূল্যায়ন করে। তাই - আপনি যদি চিরতরে 'ছোট অর্থ' থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে আপনার মস্তিষ্ককে একটি ব্যাংকের মতো কাজ করার জন্য পুনর্গঠন করতে হবে। ব্যাংক ভাঙা শক্তির পেছনে ঋণ দেয় না, তারা সম্পদের পেছনে ঋণ দেয়, অজুহাতের পেছনে নয়। আপনি কী করেন? আপনি এমন মানুষদের টাকা দেন যাদের প্রতি সহানুভূতি কাজ করে, তারপর অভিযোগ করেন যখন তারা আপনার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায়। ➤ ব্যাংকের মতো ঋণ দেওয়া শুরু করোন। নিজেকে প্রশ্ন করোন: এই মানুষটা কি ব্যাংকের জন্য উপযুক্ত (bankable)? যদি না হয়, তাহলে আপনার পকেট থেকে এক টাকাও বের হবে না। একটি সাধারণ নিয়ম: ব্যাংক যাকে ঋণ দেয় না, তাকে আপনিও ঋণ দিবেন না। কারণ দেয়ার পরে ত...

ফুল নিয়ে কিছু কথা

ছবি
ফুল (Flower) হলো উদ্ভিদের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা সাধারণত প্রজননের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি উদ্ভিদের সবচেয়ে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় অংশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ফুলের গঠন, রঙ, গন্ধ এবং আকার বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে ভিন্ন ভিন্ন হয়। ফুলের প্রধান অংশসমূহ ফুলের প্রধান অংশগুলো হলো:  * বৃন্ত (Pedicel): যে দণ্ডের উপর ফুল গঠিত হয়।  * বৃতি (Calyx): এটি সাধারণত সবুজ রঙের হয় এবং ফুলের কুঁড়িকে রক্ষা করে। এর প্রতিটি অংশকে বৃত্যংশ (Sepal) বলে।  * দলমণ্ডল (Corolla): এটি ফুলের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ, যা বিভিন্ন উজ্জ্বল রঙের পাপড়ি (Petal) দ্বারা গঠিত। পাপড়িগুলো পরাগায়নে সাহায্যকারী প্রাণীদের আকর্ষণ করে।  * পুংকেশর (Androecium): এটি ফুলের পুরুষ প্রজনন অংশ, যা পুংদণ্ড (Filament) এবং পরাগকেশ (Anther) নিয়ে গঠিত। পরাগকেশের মধ্যে পরাগরেণু (Pollen grain) থাকে।  * গর্ভকেশর (Gynoecium): এটি ফুলের স্ত্রী প্রজনন অংশ, যা গর্ভাশয় (Ovary), গর্ভদণ্ড (Style) এবং গর্ভমুণ্ড (Stigma) নিয়ে গঠিত। গর্ভাশয়ের মধ্যে ডিম্বক (Ovule) থাকে। ফুলের গুরুত্ব ফুল শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, এর অনেক গুরু...

ক্যামেরার সামনে কথা বলা বা কমিউনিকেশন স্কিল

ছবি
কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর নিনজা টেকনিক। আ মরা সবাই চাই, কেউ আমাদের শুনুক, বুঝুক। কিন্তু ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে মনে হয় যেন মনের মধ্যে এক বিচারসভা বসে গেছে। “ভুল করলে কি হবে?” “মানুষ হাসবে না তো?” এই ধরনের ভয়ের কণ্ঠগুলো মাথায় ঘুরতে থাকে। কিন্তু আসল নিনজা হয় সেই ব্যক্তি, যে ভয়কে শ'ত্রু না বানিয়ে সাথী বানিয়ে ফেলে। ক্যামেরার সামনে কথা বলার দক্ষতা আসলে একধরনের ‘মাইন্ড ট্রেনিং’। নিচে ৭টি সাইকোলজিক্যাল নিনজা কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা চুপিচুপি আপনার আত্মবিশ্বাসে আ'গুন ধরিয়ে দেবে। ১। নিজের ভাষা ও কণ্ঠের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো। কমিউনিকেশনের প্রথম ধাপ হলো স্পষ্ট এবং আকর্ষণীয়ভাবে কথা বলা। ক্যামেরার সামনে কথা বলার সময় আপনার কণ্ঠের স্বর, গতি এবং শব্দচয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে শুরু করবেন? মিরর প্র্যাকটিস করুন, প্রতিদিন ৫-১০ মিনিট আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার অভ্যাস করুন। যেকোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কথা বলুন, যেমন আপনার দিন কেমন কাটলো। এটা আপনার মুখের ভাবভঙ্গি এবং কণ্ঠের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে সাহায্য করবে। ২। ভয়কে বন্ধু বানান তাকে লুকাবেন না।  নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “আমি ভয় পাচ্ছি কেন?” ধরুন, আ...

সান্ডা নিয়ে কিছু কথা

ছবি
"সান্ডা" আসলে কী? আরব দেশেএই প্রাণী খাওয়ার ইতিহাস কত বছর আগের। ম ধ্যপ্রাচ্যের রুক্ষ, শুষ্ক অঞ্চলে এক বিশেষ ধরনের টিকটিকি দেখা যায়। কাঁটা লেজবিশিষ্ট এই টিকটিকি দেশে এখন সান্ডা নামে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে। এদের শক্ত, কাঁটাযুক্ত লেজ এবং মরুভূমির প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকার ক্ষমতা প্রকৃতির এক বিস্ময়! এসব টিকটিকির বিভিন্ন প্রজাতি পুরো মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশে পাওয়া যায়।  সান্ডা কী? হাদীস অনুযায়ী সান্ডা খাওয়া কী? হাদীসের ঘটনা: তিনি উত্তরে বললেন: “এটি আমার কওমের খাদ্য নয়, তাই আমি খাই না।” (সহীহ বুখারী: ৫৫৩৭, সহীহ মুসলিম: ১৯৪৪) ফিকহবিদদের মতামত হানাফি মাযহাব:  শাফেয়ি, মালিকি ও হাম্বলি মাযহাব: সান্ডা খাওয়ার চিকিৎসাগত দিক সান্ডা খাওয়া হারাম নয়, বরং হালাল। ইসলামে হালাল ও হারামের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা রয়েছে। তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সরাসরি কুরআন-হাদীসে উল্লেখ না থাকায় আলেমগণ ফিকহি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তার বিধান নির্ধারণ করেন। তেমনই একটি বিষয় হলো সান্ডা খাওয়া।  আবাসস্থল ও জীবনধারা: এই টিকটিকিগুলো মূলত মরুভূমি, পাথুরে এলাকা ও শুকনো তৃণভূমিতে বাস করে। ...