পোস্টগুলি

ছোটদের দু'টি গান

ছবি
১. বান্ধবী কই বন্ধুরা কই- চল সবে স্কুলে হাতে নিয়ে বই  স্কুলে এসে পড়া লেখা শেষে  সবে মিলে গাছ তলে করি হৈ চৈ।।(ঐ) জীবনটা সাজাতে  শিক্ষা চাই, শিক্ষা ছাড়া কোন উপায় নাই  সকলের তবে প্রতি ঘরে ঘরে জ্ঞানের মশাল মোরা বয়ে বেড়াব  অশিক্ষিত লোক দেশের বোঝা তাকে নিয়ে পেতে হয় সবাই সাজা  সেই বোঝা কমাতে মোরা একসাথে  জ্ঞানের আলো মোরা জ্বালিয়ে যাব।।(ঐ) ২. আমরা পড়ালেখা করব  আমরা পড়ালেখা করব শিক্ষার আলো জ্বেলে  ছেলে মেয়ে সবে মিলে  জীবনটাকে মোরা গড়ব। ঐ  মোরা আলোর পথে  দলে দলে চলব  পা ফেলে তালে তালে  যত ছাত্রী ছাত্রী দল  বলরে এবার বল  বর্ষার মত মোরা ঝড়ব। ঐ  মোরা করি নাক ডর  শত বাধা ঝড়  সবাই সবার মোরা  হোক নাক পর  তাই এস হাতে হাতে রেখে  হৃদয়ের রং মেখে  সত্যের পথে মোরা চলব।। ঐ

বজ্রপাত

ছবি
ব জ্রপাত হলো প্রকৃতির এক শক্তিশালী এবং আকর্ষনীয় ঘটনা। এটি মূলত মেঘ এবং ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বৈদ্যুতিক চার্জের ভারসাম্যহীনতা থেকে তৈরি হয়। যখন মেঘের মধ্যে থাকা বরফকণা এবং জলীয় কণাগুলো যখন ঘষা খায়, তখন স্থির বিদ্যুতের সৃষ্টি হয়। এই বিদ্যুৎ মেঘের বিভিন্ন অংশে এবং মেঘ ও ভূপৃষ্ঠের মধ্যে বিভব পার্থক্য তৈরি করে। যখন এই বিভব পার্থক্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় পৌঁছায়, তখন একটি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ তৈরি হয়, যা আমরা বজ্রপাত হিসেবে দেখি। বায়ুমণ্ডলের বৈদ্যুতিক চার্জের দ্রুত নিঃসরণ, যা মেঘ এবং ভূপৃষ্ঠ বা মেঘের বিভিন্ন অংশের মধ্যে ঘটে থাকে। এটি একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ঘটনা যা আলো এবং শব্দ উৎপন্ন করে – যা আমরা বিদ্যুৎ চমক এবং বজ্রধ্বনি হিসেবে জানি। বজ্রপাতের কারণ: বজ্রপাতের মূল কারণ হলো মেঘের মধ্যে ধনাত্মক (+) এবং ঋণাত্মক (-) চার্জের পৃথকীকরণ। সাধারণত, ঝড়ো মেঘের মধ্যে জলীয় কণা এবং বরফের কণা থাকে। এই কণাগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ফলে চার্জের সৃষ্টি হয়। হালকা বরফের কণাগুলো মেঘের উপরের দিকে উঠে যায় এবং ধনাত্মক চার্জ ধারণ করে, অন্যদিকে ভারী জলীয় কণা ও বরফের কণা নিচের দিকে নেমে আসে এবং ঋণাত্মক চার্জ ধারণ ক...

আমাদের স্বপ্নগুলো

ছবি
আমাদের স্বপ্নগুলো কি এতই সস্তা, যে কেউ যখন তখন এসে নাড়িয়ে দিয়ে আমাদরকে হতাশ করে দিতে পারে? কার এত ঠ্যাকা পড়েছে আমাকে/আপনাকে নিয়ে ভাবার? কার এত সাধ্য আছে আপনাকে হতাশ করার? কারই বা এত ক্ষমতা আছে আপনাকে সুখী কিংবা সফল করার? ভাই , এত ইমোশনাল কেন আপনি? আপনার লাইফটা কি ১ টাকার বেলুন? কেউ একজন ফুঁ দিয়ে বাতাস ঢুকালে ফুলে যায়, আবার কেউ সুঁই দিয়ে ছোট একটা ছিদ্র করলেই ফুলানো বেলুন চুপসে যায়? এত সস্তা কেন বানাচ্ছেন লাইফকে? চালের সাথে ডাল মিশিয়ে কেউ কেউ চোখ বন্ধ করে স্বপ্ন দেখে একটু পরেই কাচ্চি বিরানী হয়ে যাবে, তাহলে তাকে কী বলা যায়? সোজা বাংলায় বলদ। আপনি যা করবেন তাই তো ফেরত পাবেন। কম্পিউটারে শাকিব খানের সিনেমা ডাউনলোড করে, ফোল্ডারে সালমান খানের ছবি খুঁজলে আপনাকে কী বলা যায়? আমি এগুলোকে স্বপ্ন বলি না। এগুলোকে বলি আঁতেল।  ব্যাংক একাউন্ট একটা খুলে রেখেছেন বলেই কি সেখানে অটো টাকা জমতে থাকবে? আরে ভাই, আপনাকে প্রতি মাসে সেখানে টাকা জমা দিয়ে আসতে হবে। তবেই সেখানে টাকা জমবে। লাইফটা আপনার, কাজগুলোও আপনাকে করতে হবে। বড় বড় স্বপ্ন দেখে কেউ বড় কিছু অর্জন করেনি। যা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তা পূরণ করার মত ইফোর্...

আন্তর্জাতিক মে দিবস

ছবি
মে দিবস, যা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস নামেও পরিচিত,  প্রতি বছর ১ মে তারিখে বিশ্বব্যাপী পালিত হয়। এই দিনটি শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের স্মরণে উৎসর্গীকৃত। মে দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: ১৮৮৬ সালের ১ মে, আমেরিকার শিকাগো শহরের শ্রমিকরা দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে ব্যাপক ধর্মঘট ও বিক্ষোভ শুরু করেন। সেই সময় শ্রমিকদের দিনে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা এমনকি তারও বেশি সময় ধরে অমানবিক পরিশ্রম করতে হতো। ন্যায্য মজুরি এবং কাজের উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে শ্রমিকদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়, যাতে বহু শ্রমিক নিহত ও আহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনা "হে মার্কেট ম্যাসাকার" নামে পরিচিত। শ্রমিকদের এই আত্মত্যাগ বিশ্বজুড়ে শ্রমিক আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। ১৮৮৯ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক কংগ্রেসে ১ মে কে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিনটি শ্রমিকদের অধিকার ও সংহতির প্রতীক হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মে দিবসের তাৎপর্য ও প...

শিশুকে মোবাইল আসক্তি থেকে দূরে রাখার কৌশল

ছবি
শি শুদের স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে চাইলে প্রথমেই বাবা-মায়েদেরও হতে হবে সচেতন। যদি অভিভাবকরাই শিশুর  সামনে মোবাইল বা ডিজিটাল ডিভাইসে অধিক সময় ব্যয় করেন, তাহলে শিশুরাও সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে গ্রহণ করবে। তাই শিশুদের সামনে মোবাইল ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিবারের সঙ্গে বেশি করে কোয়ালিটি টাইম কাটানো, শিশুদের খেলাধুলা ও সৃজনশীল কার্যক্রমে যুক্ত রাখা গুরুত্বপূর্ণ। মোবাইল ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দেওয়া উচিত এবং তা কঠোরভাবে মানা প্রয়োজন। যেমন—খাবারের সময় বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে কোনোভাবেই মোবাইল বা ট্যাব ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। শিশুদের পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও মোবাইল আসক্তি দূর করার একটি কার্যকর উপায়। প্রতিদিন অন্তত ৮-৯ ঘণ্টা ঘুমের ব্যবস্থা করতে হবে, যা তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। পড়াশোনার পাশাপাশি শিশুদের নাচ, গান, সাঁতার, ছবি আঁকা বা যেকোনো প্রিয় সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে যুক্ত করা যেতে পারে। এতে শিশুদের মনোযোগ অন্যদিকে যাবে এবং মোবাইলের প্রতি নির্ভরতা কমবে। পাশাপাশি শিশুদের বই পড়ার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। এটি কার্টুন চর...

চোখের সামনে এমন দাগ কি আপনিও দেখতে পান? কারন জানা জরুরী

ছবি
আপনার চোখের সামনে কখনো কি ছোট ছোট কালো দাগ বা সুতার মতো কিছু ভেসে বেড়াতে দেখেছেন? বিশেষ করে যখন আপনি সাদা দেওয়াল বা পরিষ্কার আকাশের দিকে তাকান, তখন কি এই দাগগুলো আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে? এবং কি মনে হয় যেন এগুলো আপনার চোখের সঙ্গে সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে? এমন অভিজ্ঞতা অনেকেরই হয়ে থাকে, এবং এটি একটি সাধারণ চোখের সমস্যা, যাকে বলা হয় ফ্লোটার। আই ফ্লোটারের সঙ্গে মিলিত অন্যান্য লক্ষণ যেমন চোখে আলোর ঝলকানি, দৃষ্টির ঝাপসা হয়ে আসা বা চোখের ব্যথা হতে পারে, যা কিছু ক্ষেত্রে গুরুতর চোখের সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি বয়সজনিত একটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। তবে, আপনি যদি এই ধরনের লক্ষণ অনুভব করেন, তবে সেগুলোর দিকে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। ফ্লোটার কী? চোখের ভেতর একটি জেলের মতো স্বচ্ছ পদার্থ থাকে, যাকে বলা হয় ভিট্রিয়াস হিউমার। এটি চোখের আকৃতি বজায় রাখতে এবং রেটিনাকে সমর্থন করতে সাহায্য করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ভিট্রিয়াস হিউমারের ঘনত্ব পরিবর্তিত হতে শুরু করে, এবং এটি ধীরে ধীরে তরল হয়ে যায়। এর মধ্যে থাকা ক্ষুদ্র তন্তু ও প্রোটিনের কণাগুলো একসাথে জমাট বাঁধতে থাকে, যা চোখের মধ্যে ঘুরতে থাকে। এই জমাট ব...

কেন সাগরের তলদেশ হিমশীতল

ছবি
বি শাল সাগর-মহাসাগরে রয়েছে প্রাণবন্ত এক প্রাণের জগৎ। সমুদ্র যত গভীর হয়, ততই ভিন্ন জগৎ দেখা যায়। সমুদ্রের গভীরতা বেশি হলে সূর্যের আলো পৌঁছাতে পারে না। ফলে তাপমাত্রা থাকে হিমাঙ্কের কাছাকাছি আর পানির চাপ থাকে অনেক বেশি। আর তাই সেখানে সাধারণ প্রাণীর পক্ষে টিকে থাকা অসম্ভব। অন্যদিকে পৃথিবীর কেন্দ্র প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কিলোমিটার গভীরে অবস্থিত। বলা যায়, পৃথিবীর কেন্দ্র একটি প্রজ্বলিত অগ্নিগোলক। সেখানে তাপমাত্রা প্রায় ৫ হাজার ৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গলিত লোহা ও নিকেলের উত্তপ্ত কেন্দ্র পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি করে। পৃথিবীর অভ্যন্তর উত্তপ্ত আর সমুদ্রের তলদেশ ঠান্ডা হওয়ার মধ্যে লুকিয়ে আছে পৃথিবীর গঠন, তেজস্ক্রিয় পদার্থ ও তাপ স্থানান্তরের জটিল প্রক্রিয়ার রহস্য। পৃথিবীর অভ্যন্তরে থাকা পদার্থ ক্রমাগত ভাঙনের ফলে কেন্দ্র এখনো উত্তপ্ত। ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো তেজস্ক্রীয় আইসোটোপ সেখানে ধীরে ধীরে ভেঙে শক্তি নির্গত করছে, যা পৃথিবীর অভ্যন্তরকে উত্তপ্ত রাখে। এই তাপ ধীরে ধীরে বাইরের দিকে প্রবাহিত হয়। অন্যদিকে সমুদ্রের উপরিভাগ সূর্যের আলোর মাধ্যমে উত্তপ্ত হয়। পানির তাপ পরিবাহিতা কম হওয়ার...