পোস্টগুলি

জুন, ২০২৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ছাদ বাগান

ছাদ বাগান বা রুফটপ গার্ডেনিং আজকাল শহুরে জীবনে এক দারুণ জনপ্রিয় ধারণা। যাদের নিজস্ব বাগান করার মতো জমি নেই, তারা নিজেদের বাড়ির ছাদকেই কাজে লাগিয়ে তৈরি করছেন সুন্দর সবুজ মরূদ্যান। আর এই ছাদ বাগানে যখন ফল আসে, তখন তার আনন্দ সত্যিই অতুলনীয়! ছাদ বাগানে ফল আসার আনন্দ ছাদ বাগানে ফল আসাটা কেবল ফল উৎপাদন নয়, এটি শখের বশবর্তী হয়ে করা পরিশ্রমের এক দারুণ প্রতিদান। নিজের হাতে লাগানো গাছ থেকে তাজা ফল পাড়ার অনুভূতিটাই অন্যরকম। এটি যেমন পরিবারকে স্বাস্থ্যকর ফল সরবরাহ করে, তেমনি মনকেও সতেজ রাখে। টাটকা ফলগুলো বাজার থেকে কেনা ফলের চেয়ে বেশি সুস্বাদু এবং রাসায়নিকমুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত যে ফলগুলো ছাদ বাগানে ভালো হয় ছাদ বাগানের জন্য এমন ফল গাছ নির্বাচন করা উচিত যেগুলো ছোট আকারের পাত্রে ভালো জন্মায় এবং খুব বেশি জায়গার প্রয়োজন হয় না। কিছু জনপ্রিয় ফল গাছ হলো:  * লেবু: বিভিন্ন প্রকার লেবু গাছ, যেমন কাগজি লেবু, পাতি লেবু, বাতাবি লেবু ছাদ বাগানের জন্য খুবই উপযোগী। এগুলো সহজে যত্ন নেওয়া যায় এবং সারা বছর ফল দেয়।  * পেঁপে: অল্প জায়গাতেও পেঁপে গাছ ভালো ফলন দেয়। এর দ্রুত বৃদ্ধ...

চোখের নজর

চোখের নজর:  দৃষ্টিশক্তির গুরুত্ব এবং যত্ন চোখের নজর বা দৃষ্টিশক্তি আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের চারপাশের জগতকে দেখতে, চিনতে এবং বুঝতে সাহায্য করে। সুস্থ চোখের নজর দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। এটি শুধু বস্তু দেখতেই সাহায্য করে না, বরং শেখা, কাজ করা, খেলাধুলা করা এবং মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চোখের নজর কেন গুরুত্বপূর্ণ?  * দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তা: পড়া, লেখা, গাড়ি চালানো, রান্না করা, খেলাধুলা করা – আমাদের প্রতিটি দৈনন্দিন কাজে চোখের নজর অপরিহার্য।  * শিক্ষায় সহায়তা: শিক্ষার্থীরা চোখের মাধ্যমে বই পড়ে, বোর্ডের লেখা দেখে এবং ভিজ্যুয়াল ইনফরমেশন গ্রহণ করে শেখে।  * কাজের ক্ষেত্রে: অনেক পেশায়, যেমন – ড্রাইভার, কম্পিউটার প্রোগ্রামার, সার্জন, শিল্পকলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ভালো দৃষ্টিশক্তি অত্যন্ত জরুরি।  * সামাজিক যোগাযোগ: মুখের অভিব্যক্তি এবং অঙ্গভঙ্গি বোঝার জন্য দৃষ্টিশক্তির প্রয়োজন হয়, যা সামাজিক যোগাযোগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।  * নিরাপত্তা: পথ চলতে, বিপদ এড়াতে এবং চারপাশের পরিবেশ সম্পর্কে...

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাইলে

প্রযুক্তির প্রেমে পড়েছিলেন তিনি একদমই ছোটবেলায় । কিন্তু কখন যে সেই ভালোবাসা থেকে কনটেন্ট বানানোর যাত্রা শুরু হলো , টেরই পাননি তিনি । আজ যাঁরা বলেন , “ আমি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে চাই ” , তাঁদের তিনি বলেন , এই যাত্রাটা সহজ নয় , তবে অসম্ভবও নয় । কনটেন্ট নির্মাণ এখন অনেকের কাছেই স্বপ্নের ক্যারিয়ার । তবে বাস্তবতা হচ্ছে , এই পেশায় প্রতিদিনই শেখা , গড়া ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার লড়াই । একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে হলে নিজেকে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয় , আর কোন কোন ভুল এড়িয়ে চললে পথটা কিছুটা মসৃণ হয় , এই লেখায় তুলে ধরা হয়েছে সে বিষয়গুলো । বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও Samzone- এর প্রতিষ্ঠাতা স্যাম - এর সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন মো . আশিকুর রহমান । তোমার কণ্ঠটা তোমারই হোক প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় , তোমার কণ্ঠ কোথায় ? কনটেন্ট মানে শুধুই ট্রেন্ড ধাওয়া নয় । অনেকেই ভাবে , এই মুহূর্তে ভাইরাল কী , সেটা নিয়েই কিছু বানাতে হবে । কিন্তু আসল সফলতা আসে যখন তুমি নিজের ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে কিছু বলতে পারো । তোমার কথায় যদি সত্যতা থাকে , তাহলেও মানুষের সঙ...

"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল"

ছবি
"বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল" - এই লাইনটি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় গান থেকে নেওয়া হয়েছে। এটি রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি পর্যায়ের গানগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের বর্ষা অংশে অন্তর্ভুক্ত। এই গানটি বর্ষার আগমন এবং কদম ফুলের সঙ্গে এর নিবিড় সম্পর্ককে সুন্দরভাবে তুলে ধরে। বাদল দিন মানে বৃষ্টিভেজা দিন, আর সেই দিনে ফোটা প্রথম কদম ফুল বর্ষার এক বিশেষ প্রতীক। রবীন্দ্রনাথ এই গানে কদম ফুলকে বর্ষার প্রথম উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং এর প্রতিদানে শ্রাবণের গান উপহার দেওয়ার কথা বলেছেন। শুধু রবীন্দ্রনাথই নন, বর্ষা ও কদম ফুল নিয়ে আরও অনেক কবি-সাহিত্যিক গান, কবিতা ও গল্প লিখেছেন। বাংলাদেশের কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদও কদম ফুলকে তার লেখায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন, এমনকি "বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল" নামে একটি নাটক ও "বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল" নামে একটি উপন্যাসও লিখেছেন। তার বিখ্যাত গান "যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো, চলে এসো এক বরষায়" -তেও কদম ফুলের উল্লেখ আছে। কদম ফুল বর্ষার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর হলুদ-সোনালি এবং সাদা রঙের মিশ্র...

শুভ সকাল

ছবি
শফিক'স ওয়ার্ল্ড একটা সকাল মানেই নতুন করে শুরু করার সুযোগ। ভোরের আলোয় সব ক্লান্তি ধুয়ে যায়, মন ভরে ওঠে নতুন আশায়। প্রতিটি সকাল আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে জীবন কতটা সুন্দর আর প্রতিটি দিনই নতুন করে বাঁচার প্রেরণা নিয়ে আসে। আপনার সকালকে সুন্দর করার কিছু টিপস:  * ভোরের আলো উপভোগ করুন: ঘুম থেকে উঠেই জানালার পর্দা সরিয়ে দিন। ভোরের নরম আলো আপনার মনকে সতেজ করে তুলবে।  * সকালের নাস্তা করুন: পুষ্টিকর নাস্তা দিয়ে দিন শুরু করুন। এটি আপনাকে সারাদিন কর্মঠ থাকতে সাহায্য করবে।  * নিজের জন্য সময় বের করুন: সকালে কিছুক্ষণ হাঁটুন, যোগা করুন অথবা আপনার পছন্দের কোনো বই পড়ুন। এই সময়টুকু আপনার মনকে শান্ত রাখবে।  * ইতিবাচক থাকুন: দিনের শুরুতেই ইতিবাচক চিন্তা করুন। মনে রাখবেন, আপনার প্রতিটি দিন কেমন কাটবে, তার অনেকটাই নির্ভর করে আপনার সকালের ওপর। আপনার সকালগুলো আনন্দময় হোক!

লিচু বাগান

ছবি
লি চুর বাগান একটি দারুণ এবং লাভজনক কৃষি উদ্যোগ হতে পারে। বাংলাদেশে লিচু একটি জনপ্রিয় ফল, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে এর চাহিদা অনেক বেশি থাকে। লিচু বাগান করার সুবিধা  * উচ্চ চাহিদা: লিচুর স্বাদ এবং পুষ্টিগুণের কারণে বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।  * আর্থিক লাভ: সঠিক পরিচর্যা এবং ভালো ফলন হলে লিচু বাগান থেকে ভালো আর্থিক লাভ করা সম্ভব।  * পরিবেশগত উপকারিতা: বাগান পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে এবং জীববৈচিত্র্য বাড়ায়।  * কর্মসংস্থান সৃষ্টি: লিচু বাগান রক্ষণাবেক্ষণ ও ফল তোলার জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। লিচু বাগানের জন্য উপযুক্ত স্থান ও মাটি লিচু বাগান করার জন্য সাধারণত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া প্রয়োজন। দোআঁশ ও বেলে-দোআঁশ মাটি লিচু চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ থাকা এবং সুনিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। জলাবদ্ধতা লিচুগাছের জন্য ক্ষতিকর। চারা রোপণ ও পরিচর্যা সাধারণত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত লিচুর চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। রোপণের সময় সঠিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত, যাতে গাছগুলো পর্যাপ্ত আলো-বাতাস পায়। চারা রোপণের পর নিয়মিত সার প্রয়োগ...

শিউলির স্বপ্ন

স্বপ্ন, আশা, আর কঠিন বাস্তবতার এক অদ্ভুত মিশেলে গড়া এই আমাদের জীবন। এর প্রতিটি বাঁকে রয়েছে অজস্র গল্প, কিছু হাসির, কিছু কান্নার, আর কিছু অনুপ্রেরণার। তেমনই এক জীবনের গল্প হলো শিউলির। শিউলি জন্মেছিল এক অজপাড়াগাঁয়ে, যেখানে স্বপ্ন দেখাটাই ছিল এক প্রকার বিলাসিতা। চারপাশে দারিদ্র্যের কড়া শাসন, কিন্তু শিউলির চোখে ছিল অপার স্বপ্ন। সে স্বপ্ন দেখতো শহরের ঝলমলে আলোর, সে স্বপ্ন দেখতো একদিন তার জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে গ্রামের প্রতিটি ঘর। তার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল একজন শিক্ষিকা হওয়া। সে বিশ্বাস করতো, শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজের পরিবর্তন সম্ভব। বাস্তবতার কঠিন পথ কিন্তু স্বপ্নের পথ কখনই মসৃণ হয় না। শিউলির বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর। তিন বেলা খাবার জোগাড় করতেই তাদের হিমশিম খেতে হতো। স্কুলে যাওয়ার জন্য বই-খাতা কেনার সামর্থ্যও তাদের ছিল না। শিউলির মনে মাঝে মাঝেই হতাশার মেঘ জমতো। চোখের কোণে জমা জল মুছে সে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখতো। সে দিনের বেলা বাবার সাথে কৃষি কাজ করতো, আর রাতে হারিকেনের আবছা আলোয় বই নিয়ে বসতো। গ্রামের এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, শিউলির এই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে বিনা পয়সায় পড়া...

Midnight beautiful story

এটা মানবে: টানার চত্বরের আর ঘড়িটা সবেমাত্র বারোটা বাজল, ওকহেভেনের ঘুমন্তগ্লতি তার অনুরণিত সুরক্ষিত প্রতিবনিত শক্তি। বহু আলো নিভে, এবং একটি গভীর নীরবতা বর্ণনাল, কেবল প্রাচীন ওক গাছের পাতার মৃদু খসখস এবং দূরবর্তী ঝিঁঝিঁঝি পোকার ছন্দময় কিচিরমিচির শব্দে পড়েছিল। তবে আজকের রাতটি ছিল বিশেষ। এটি ছিল "ফিসিফিসিং" এর রাত্রি, একটি জ্যোতির্ সংক্রান্ত বিদ্যা যা প্রতি শতবর্ষ একবারই শুরু হয়েছিল যখন উজ্জ্বলতম নক্ষত্রপুঞ্জ নিখুঁতভাবে সারিবদ্ধ ছিল, তাদের আলো একটি নরম, স্বর্গীয় আভায় একত্রিত হয়েছিল। এলারা, গোধূলির মতো রঙ, এক তরুণী, এই রাতের জন্য অপেক্ষা করছি। সে তার কুটির থেকে একটি জীর্ণ কম্বল কাঁধে স্থানীয় হুইস্পারউন্ড পাহাড়ের পাহাড় কুলকুণ্ডে গেল, যেখানে বাতাস স্বাভাবিক আরও সজ ছিল এবং মনে হয় আকাশে দৃশ্য অবাধ ছিল। যখন সে আকাশ, ঘাসের উপর বসল থেকে ধুলো আসতে শুরু করল, তুষারের মতো নয়, বহুবিধ সহকারী আলোর মতো চাঁদের আঁকড়ে ধরেছিল। এটি তার চুল, তার মালিকানা পাড়ি এবং পুরানো কম্বলের উপর পড়ে, যা তাদের এক অন্য আলোয় আলোয় ঝলমল করে তুলল। তারপর, শুরু নক্ষত্ররা, সাধারণ নীরব, গুণগুণ করতে শুরু কর। ...

ভালোবাসা অবিরাম: এক অনন্ত যাত্রা

ভা লোবাসা অবিরাম, এই কথাটি গভীর অর্থ বহন করে। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, এটি একটি অনুভূতি, একটি প্রতিজ্ঞা এবং একটি চিরন্তন বন্ধনের প্রতিচ্ছবি। অবিরাম ভালোবাসা মানে এমন এক ভালোবাসা যা সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয় না, বরং আরও গভীর হয়। এটি কোনো শর্তের উপর নির্ভরশীল নয়, এটি কেবল দিতে জানে, প্রতিদানে কিছু পাওয়ার আশা রাখে না। নিঃশর্ততা ও স্থায়িত্ব অবিরাম ভালোবাসা হলো সেই ভালোবাসা যা সময়ের পরীক্ষা পেরিয়ে টিকে থাকে। যখন সম্পর্কগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তখন এই অবিরাম ভালোবাসাই সেগুলোকে ধরে রাখে। এটি ক্ষণস্থায়ী আবেগের উর্ধ্বে এক গভীর অঙ্গীকার। মা-বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা, বন্ধুত্বের বন্ধন, অথবা জীবনসঙ্গীর প্রতি গভীর অনুরাগ – সবক্ষেত্রেই অবিরাম ভালোবাসা এক স্তম্ভের মতো কাজ করে। এটি শুধু সুখের সময়েই নয়, দুঃখ, কষ্ট এবং প্রতিকূলতার সময়েও পাশে থাকে, সাহস যোগায় এবং ভরসা দেয়। আত্মত্যাগ ও ক্ষমা অবিরাম ভালোবাসার মূল ভিত্তি হলো আত্মত্যাগ। নিজের সুখের চেয়ে অন্যের সুখকে প্রাধান্য দেওয়া, তাদের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়ানো – এসবই অবিরাম ভালোবাসার প্রকাশ। এই ভালোবাসায় কোনো স্বার্থপরতা নেই। ...

লিচু গ্রীষ্মের এক সুস্বাদু ফল

ছবি
লি চু (বৈজ্ঞানিক নাম: Litchi chinensis) একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু গ্রীষ্মকালীন ফল। এর মিষ্টি স্বাদ, রসালো শাঁস এবং স্বতন্ত্র সুগন্ধ একে গ্রীষ্মের অন্যতম আকর্ষণীয় ফল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। লিচু স্যাপিন্ডাসি (Sapindaceae) পরিবারের সদস্য এবং এর আদি নিবাস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চীন ও ভিয়েতনামের ক্রান্তীয় অঞ্চল। বাংলাদেশেও এর চাষাবাদ বেশ জনপ্রিয় এবং গ্রীষ্মকালে বাজারে এর সহজলভ্যতা দেখা যায়। লিচুর পরিচিতি ও প্রকারভেদ লিচু ফল সাধারণত গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়ে থাকে, যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২-৪ সেন্টিমিটার। এর খোসা পাতলা, লালচে বা গোলাপী রঙের এবং অমসৃণ। খোসার ভেতরে থাকে সাদা, স্বচ্ছ ও রসালো শাঁস, যা একটি কালো বা গাঢ় বাদামী রঙের বীজের চারপাশে আবৃত থাকে। এই শাঁসই লিচুর ভোজ্য অংশ। বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের লিচুর চাষ হয়, যার মধ্যে চায়না-৩, চায়না-৪, বোম্বাই, মাদ্রাজি, বেদানা, মোজাফ্ফরপুরী এবং বারি লিচু-১, ২, ৩ উল্লেখযোগ্য। প্রতিটি জাতের লিচুর স্বাদ, গন্ধ এবং আকার ভিন্ন ভিন্ন হয়, তবে সব জাতই নিজস্ব স্বাদে অনন্য। লিচুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা লিচু কেবল সুস্বাদুই নয়, এটি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এতে রয়েছে প্...

সুফিয়া কামাল

ছবি
সু ফিয়া কামাল ছিলেন একাধারে কবি, লেখিকা, নারীবাদী এবং বাংলাদেশের একজন অন্যতম প্রধান জননেত্রী। বিংশ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম এই উজ্জ্বল নক্ষত্র তাঁর লেখনী ও কর্মের মাধ্যমে নারী জাগরণে এবং সমাজে প্রগতিশীল চিন্তাধারার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন ১৯১১ সালের ২০ জুন বরিশালের শায়েস্তাবাদে সুফিয়া কামাল জন্মগ্রহণ করেন। যদিও তিনি প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি, তবে পারিবারিক পরিমণ্ডলে তাঁর মেধা ও মননের বিকাশ ঘটেছিল। তাঁর মা তাঁকে বাংলা ও উর্দু ভাষা শিখিয়েছিলেন এবং বিভিন্ন বই পড়তে উৎসাহিত করেছিলেন, যা তাঁর সাহিত্যিক জীবনের ভিত্তি স্থাপন করে। সাহিত্যকর্ম ও অবদান সুফিয়া কামালের সাহিত্যকর্মে নারী স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা, সমাজের কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং মানবতাবাদের জয়গান স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'সাঁঝের মায়া' তাঁকে সাহিত্যজগতে পরিচিতি এনে দেয়। এছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলো হলো:  * 'মায়া কাজল'  * 'মন ও জীবন'  * 'দিওয়ান'  * 'অভিযাত্রিক'  * 'প্রশান্তি' ত...

Good night

ছবি
শুভ রাত্রি  নির্জন রাতে,ঘুম হোক শান্তির  নির্জন রাতে , ঘুম হোক নির্মল  নির্জন রাত, ঘুম হোক শান্তির নির্জন রাতে, ঘুম হোক ভালোবাসার  নির্জন রাতে, ঘুম হোক প্রিয়ার বন্ধনে।। ঘুম নিয়ে কিছু তথ্য নিচে দেওয়া হলো: ঘুম কী? ঘুম হলো একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া যেখানে শরীর ও মন বিশ্রাম নেয়। এটি সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক সচল থাকে এবং এটি সারাদিনের তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে। ঘুমের গুরুত্ব  * শারীরিক স্বাস্থ্য: পর্যাপ্ত ঘুম শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কোষের মেরামত ও বৃদ্ধি ঘটায়। ঘুমের অভাবে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে।  * মানসিক স্বাস্থ্য: ঘুম মস্তিষ্কের কার্যকারিতা, স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে। এটি মানসিক চাপ ও উদ্বেগের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।  * কর্মক্ষমতা: পর্যাপ্ত ঘুম মানুষকে কর্মক্ষেত্রে বা পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগী ও উৎপাদনশীল হতে সাহায্য করে। পর্যাপ্ত ঘুমের সময়কাল সাধারণত, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। শিশুদের এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য এর চেয়ে বেশি ঘুমের প্রয়...

কাজের সময় সময়ের সদ্ব্যবহার

কাজের ক্ষেত্রে সময়ের সঠিক ব্যবহার বা ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং মানসিক চাপ কমায়। নিচে কাজের ক্ষেত্রে কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনার কিছু মূল দিক আলোচনা করা হলো: ১. লক্ষ্য নির্ধারণ এবং অগ্রাধিকার (Goal Setting and Prioritization):  * SMART লক্ষ্য নির্ধারণ: আপনার কাজের লক্ষ্যগুলি সুনির্দিষ্ট (Specific), পরিমাপযোগ্য (Measurable), অর্জনযোগ্য (Achievable), প্রাসঙ্গিক (Relevant) এবং সময়বদ্ধ (Time-bound) হতে হবে।  * অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি: প্রতিটি কাজের গুরুত্ব এবং জরুরিতা অনুযায়ী অগ্রাধিকার নির্ধারণ করুন। আইজেনহাওয়ার ম্যাট্রিক্স (Eisenhower Matrix) ব্যবহার করতে পারেন, যেখানে কাজগুলিকে জরুরি/গুরুত্বপূর্ণ, জরুরি/গুরুত্বপূর্ণ নয়, জরুরি নয়/গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি নয়/গুরুত্বপূর্ণ নয় - এই চারটি ভাগে ভাগ করা হয়। ২. পরিকল্পনা এবং সময়সূচী (Planning and Scheduling):  * দৈনিক/সাপ্তাহিক পরিকল্পনা: প্রতিটি দিনের বা সপ্তাহের শুরুতে আপনার কাজগুলি পরিকল্পনা করুন। এতে আপনার কাজের একটি স্পষ্ট চিত্র থাকবে।  * সময় বরাদ্দ (Time Blocking): নির্দিষ্ট কা...

গভীর রাতের নিস্তব্ধতা

ছবি
গভীর রাতের নিস্তব্ধতা: রা ত যত গভীর হয়, পৃথিবী যেন তত শান্ত হয়ে আসে। ব্যস্ত দিনের কোলাহল থেমে যায়, চারদিক ঢেকে যায় এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতায়। এই গভীর রাতটা অনেকের কাছেই প্রিয়। কেউ হয়তো তখন প্রিয় বই নিয়ে বসে, কেউবা ডুবে যায় নিজের ভাবনার জগতে। গভীর রাতের আকাশের দিকে তাকালে মনটা কেমন যেন আনমনা হয়ে যায়। লক্ষ লক্ষ তারার ঝিকিমিকি আর চাঁদের স্নিগ্ধ আলো এক অন্যরকম অনুভূতি এনে দেয়। এই সময়টায় প্রকৃতিও যেন নিজের এক ভিন্ন রূপ ধারণ করে। ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, দূর থেকে ভেসে আসা কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দ, সবকিছু মিলে এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি হয়। অনেকের কাছে এই সময়টা সৃজনশীলতার জন্ম দেয়। কবিরা কবিতা লেখেন, লেখকরা গল্প ফেঁদে বসেন, আবার কেউ কেউ হয়তো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করেন। দিনের আলোয় যা ভাবা কঠিন হয়, গভীর রাতে সেই কাজগুলোই সহজ হয়ে ওঠে। আপনিও কি গভীর রাত ভালোবাসেন?  এই নিস্তব্ধতায় আপনার মন কী খুঁজে ফেরে? রাতের গভীর নিস্তব্ধতা এক অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে আসে। চারপাশের কোলাহল থেমে যায়, প্রকৃতি যেন শান্ত হয়ে নিজেদের মেলে ধরে। এই সময়টায় শহর বা গ্রামীণ পরিবেশ, সব জায়গাতেই এক অদ্ভুত শান্তি বিরাজ...

সময়ের সাথে সাথে সাফল্যের পরিবর্তন

ছবি
কোডাক কোম্পানিকে মনে আছে? ১৯৯৮ সালে অ্যাল্যাক কোম্পানি ১ লাখ ৭০ হাজার ব্যবহারকারীর কাজ করতে। এবং বিশ্বে ছবি আসা প্রায় ৮৫% গত কয়েক বছরের মোবাইল ক্যামেরার বাড়বাড়ন্ত এমনটি হয় যে কোডাকের অবস্থার কোম্পানী টাইপ করা যায়। এমনকি কোডাক সম্পুর্ন দেউলিয়া পড়ে এবং সমগ্র সমগ্রকে প্রতিবাদমূলক ছাটাই করা হয়। একই সময়ে আরও কতগুলি লঙ্কা কোম্পানি তাদের ঝাঁপ পাকাপাকি বন্ধ করতে হয়। যেমন- এইচএমটি (ঘড়ি) ডায়ানোরা (টিভি) মারফি (রেডিও) নোকিয়া (মোবাইল) রাজদূত (বাইক) রাষ্ট্রদূত (গাড়ি) এই কোম্পানির কোম্পানিগুলোর মধ্যে কারুরই কোয়ালিটি খারাপ ছিল না। এখনো এই কোম্পানিগুলো কেনো গেল? কারণ এরা জাতির সাথে নিজেকে বদলাতে পারেন। এখনকার সময়ে পাল্টা আপনি সতর্কতামূলক ভাবতেও পারছেন যেটার 10 জার্মান দুনিয়া কতটা যেতে পারে! এবং বর্তমান 70%-90% চাকরিই সামনের 10 বছর সম্পুর্নভাবে বিলুপ্ত হতে পারে। আমরা চেষ্টা করতে পেরেছি "চতুর শিল্প বিপ্লব"- এর যুগে। বর্তমান বিখ্যাত কোম্পানির দিকে তাকান- UBER শুধুমাত্র একটি সফটওয়্যার-এর নাম। না, কেন্দ্র কোন গাড়ি নেই। তাবু আজ স্থানীয় মালিকানা কোম্পানি হল UBER. Airbnb হল আজকে...