বেল
কথায় আছে,
"বেল খেয়ে খায় পানি
জির বলে মরলাম আমি।"
বেলের শরবত হজমশক্তি বাড়ায় এবং তা বলবর্ধক। বেলের পাতার রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়। বেল পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়। শিশুর স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য বেল অত্যন্ত উপকারী।
#পেটের অসুখে : অনেকের পেট ব্যথা ও পেট খারাপ থাকে প্রায় সারা বছর। হজমের গোলযোগ পেটের ভেতর গড়গড় করা, ভুটভাট করা ও ফেট ফাঁপা হয়। যাদের এই সমস্যা রয়েছে, তারা কাঁচা বেলের গায়ে আধা ইঞ্চি পুরু করে কাদা মাখিয়ে চুলার কাঠের আগুনে পুড়িয়ে সকাল-বিকালে তিন-চার চামচ বেল সামান্য গুড় বা চিনি দিয়ে তিন-চার দিন খেলে উপকার পাবেন। এ ছাড়া কাঁচা বেলের শাঁস শুঁটকি পানিতে ভিজিয়ে সেই পানি খেলেও উপকৃত হবেন। এতে পুরনো আমাশয়ও ভালো হয়।
#স্মৃতিশক্তি বাড়াতে : ছাত্র-ছাত্রীদের স্মৃতিশক্তি বর্ধনে দুই বা তিনটি বেলপাতা ঘিয়ে ভেজে মচমচে করে মিছরির গুঁড়োর সাথে এক সপ্তাহ প্রতিদিন সকাল খাওয়ালে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়।
#সর্দি ও জ্বরজ্বর ভাব হলে: সর্দি হলে বা গায়ে ব্যথা এবং জ্বরজ্বর ভাব হলে বেলপাতা বেটে রস বের করে এক ফোঁটা মধুসহ তিন-চার দিন খেলে ভালো হয়।
#শুক্র তারল্যে : বেলগাছের শিকড় ভালো করে ধুয়ে সামান্য জিরার সাথে বেটে ঘিয়ের সাথে খেলে শুক্র গাঢ় হয়।
#গায়ের দুর্গন্ধে : অনেকের শরীর থেকে দুর্গন্ধ নির্গত হয়। এ জন্য দাম্পত্য কলহ এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত হয়। তাদের পাশে কেউ বসতে পারে না। তারা বেলপাতা দিয়ে পানি সেদ্ধ করে সেই পানিতে শরীর মুছলে বা ওই পানি দিয়ে গোসল করলে শরীরের দুর্গন্ধ দূরীভূত হয়।
#ঔষধিগুণঃ- বেল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও আমাশয়ে উপকার করে। আধাপাকা সিদ্ধফল আমাশয়ে অধিক কার্যকরী । বেলের শরবত হজম শক্তি বাড়ায় এবং বলবর্ধক । বেলের পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে চোখের ছানি ও জ্বালা উপশম হয়। পাতার রস, মধু ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে জন্ডিস রোগ নিরাময় হয়।
#ব্যবহার : কাঁচা ও পাকা বেল সুস্বাদু খাবার । পাকা বেলের জুস তৈরি করে খাওয়া যায়।
মন্তব্যসমূহ